আরও দেখুন
বুধবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। এক সপ্তাহ আগে আমরা উল্লেখ করেছিলাম যে এই মুভমেন্ট আমাদের কারণ আশ্চর্যজনক নয়, যদিও নতুন ট্রেডাররা লক্ষ্য করতে পারেন যে ইউরোর দৈনিক দরপতনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই। এটি নির্দেশ করে যে মার্কেটের ট্রেডাররা অল্প অল্প করে ইউরো বিক্রি করছে। এটিই মূল বিষয়। দুই বছর ধরে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির পর, এখন এই পেয়ারের মূল্যকে যৌক্তিক লেভেলে নিয়ে আসার সময় এসেছে। পূর্বে, মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যত আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের বিষয়টি মূল্যায়ন করতে থাকায় মার্কিন ডলারের ক্রমাগত দরপতন হচ্ছিল, কিন্তু এখন ইউরোর দরপতন অব্যাহত রয়েছে কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে ফেডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের বিষয়টি মূল্যায়ন করে ফেলেছে।
এর পাশাপাশি, আজ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক তৃতীয়বারের মতো সুদের হার কমাতে পারে, যা মার্কেটের ট্রেডাররা আগে বিবেচনা করেনি। প্রযুক্তিগত দিক থেকে, এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইনের নিচে রয়েছে এবং মূল্য এর উপরে কনসলিডেট করার কোনো চেষ্টা করছে না। তাই, প্রযুক্তিগতভাবে, এই মুহূর্তে এই পেয়ার ক্রয় করার বা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের জন্য কোনো কারণ নেই।
বুধবার ৫ মিনিটের টাইম ফ্রেমে ঠিক একটি ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের শেষ এবং মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুর মাঝামাঝি সময়ে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0888-1.0896 এর এরিয়াতে প্রবেশ করেছিল, সেখানে কয়েক ঘণ্টা ধরে কনসলিডেট করেছিল এবং তারপর পুনরায় নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়, যার ফলে দিনের শেষে এই পেয়ারের মূল্য 1.0856 লেভেলে পৌঁছায়। এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মাত্রার ভোলাটিলিটি অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে লোয়ার টাইমফ্রেমে ট্রেড করে মুনাফা অর্জন করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, গতকাল লাভ করা সম্ভব ছিল।
এক ঘন্টার টাইম ফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার গঠনের প্রথম ধাপ অব্যাহত রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, মধ্যমেয়াদে আবার অযৌক্তিকভাবে ডলারের বিক্রি শুরু হতে পারে, কেননা কেউ জানে না মার্কেটের ট্রেডাররা কতক্ষণ ফেডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ দ্বারা প্রভাবিত হতে থাকবে। তবে, এক ঘন্টার টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবেই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। কোন ধরনের কারেকশন ছাড়াই ইউরোর আরও দরপতনের আশা করা যায়, যদিও একটি কারেকশন হলে সেটি আরও যৌক্তিক হবে।
বুধবার নিকটতম লেভেলগুলোর উপর ভিত্তি করে ট্রেডিং করা যেতে পারে। আজকের মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট যথেষ্ট শক্তিশালী হবে, তাই উচ্চ মাত্রার ভোলাটিলিটি আশা করা যেতে পারে।
৫ মিনিটের টাইম ফ্রেমে নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করুন: 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940-1.0951, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132-1.1140, 1.1189-1.1191। বৃহস্পতিবার, ইসিবির বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করা হবে, যার পরে ক্রিস্টিন লাগার্ডের প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন এবং খুচরা বিক্রয় সহ বেশ কয়েকটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।