আরও দেখুন
বুধবার যেন কিছুই ঘটেনি এমনভাবে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। এর আগের দিন, এই পেয়ারের মূল্য পূর্ববর্তী ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছিল, কিন্তু আমরা সতর্ক করেছিলাম যে প্রায়-ফ্ল্যাট মুভমেন্টের পরিস্থিতিতে ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করা হলে সেটি কোন শক্তিশালী সিগনাল হিসেবে বিবেচিত হয় না। ফলস্বরূপ, মূল্য সেই লাইন ব্রেক করে যায় এবং যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা আবারও শান্তিপূর্ণভাবে এই পেয়ারের মূল্যের নিচের দিকে চলে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অবশ্য গতকাল মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনই পাউন্ডের দরপতনের আসল কারণ ছিল। সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের সব ধরনের মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি হ্রাস পেয়েছে। এটি ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডকে শীঘ্রই মুদ্রানীতির নমনীয়করণ পুনরায় শুরু করতে এবং মার্কেটের ট্রেডারদের প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত সুদের হার কমাতে বাধ্য করবে। মনে হচ্ছে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও যুক্তরাজ্যে সুদের হার কমানোর বিষয়টি মূল্যায়ন শুরু করেনি। তাই, যে কোনো ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের সংবাদ পাউন্ড বিক্রি করার আরেকটি কারণ হতে পারে। এখন এই পেয়ারের মূল্য তৃতীয়বারের মতো 1.2980 লেভেলে পৌঁছেছে এবং আজ এই লেভেল ব্রেক করে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার, ৫ মিনিটের টাইম ফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগনাল তৈরি হয়েছিল। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3043 লেভেল ব্রেক করেছিল এবং 1.2988-1.2993 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করেছিল। প্রথম সিগনালটি যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের সাথে সাথেই কার্যকর করা উচিত ছিল। প্রতিবেদনটির ফলাফল বেশ সুস্পষ্ট ছিল, তাই 1.3043 লেভেলের ব্রেক করার অপেক্ষা না করেই এই পেয়ার বিক্রি করা যেতে পারত। দ্বিতীয় সিগনালটিও লাভের সুযোগ দিয়েছিল, যদিও মূল্য নিকটতম টার্গেট লেভেলে পৌঁছাতে পারেনি।
এক ঘন্টার টাইম ফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ঘটেছে এবং নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রেখেছে। মার্কিন ডলারের মূল্যের বহুল প্রতীক্ষিত বৃদ্ধি শুরু হয়েছে, তবে এই পেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত কারণ গত তিন সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্যের কোনো কারেকশনের প্রচেষ্টাও দেখা যায়নি। তবে, এই পেয়ারের মূল্য কারেকশনের জন্য প্রস্তুত এমন কোনো ইঙ্গিত নেই। আমরা মধ্য-মেয়াদে সম্পূর্ণভাবে এই পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি কারণ এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল বলে আমরা মনে করছি।
বৃহস্পতিবার, সহজেই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য 1.2980 লেভেল ব্রেক করে গেলে সেটি আরও একবার ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রির সুযোগ করে দেবে।
৫ মিনিটের টাইম ফ্রেমে, আপনি বর্তমানে নিম্নলিখিত লেভেলগুলো ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন: 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, 1.3428-1.3440। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন এবং খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদি আজ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকের ফলাফলের কারণে ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকে, তাহলে পাউন্ডও হয়তো একই পথ অনুসরণ করতে পারে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।