আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ার নতুন করে দরপতন এড়াতে সক্ষম হয়েছে, তবে এটি করা সহজ ছিল না। আমরা আগে থেকেই সতর্ক করেছিলাম যে 1.3000 লেভেলটি একটি সাইকোলজিক্যাল লেভেল যা প্রথম প্রচেষ্টাতেই বভ্রেক করা কঠিন হবে। শেষ পর্যন্ত, এই লেভেলটি ব্রিটিশ মুদ্রার আরেকটি দরপতন ঠেকিয়েছে। তবে, গতকাল এবং আজ এই পেয়ারেরদর বৃদ্ধি সত্ত্বেও, এখনও এটি বলার সময় আসেনি যে এই পেয়ারের মূল্যের একটি কারেকশন শুরু হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য এখনও ট্রেন্ড লাইনের উপরে স্থির হয়নি, এবং আজ এটি তা করতে সক্ষম হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।
যুক্তরাজ্যে আজ সেপ্টেম্বর মাসের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেটির ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী ছিল। ফলে, মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে এই পেয়ার কেনার জন্য কারণ ছিল। প্রশ্ন হলো, কতদিন ধরে এই পেয়ার ক্রয় করা হবে। যদি ট্রেন্ড লাইন থেকে মূল্যের রিবাউন্ড হয়, তাহলে নতুন করে ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রির ঢেউ শুরু হতে পারে, যা আমাদের মতে পুরোপুরি যৌক্তিক হবে। তবে, যদি মূল্য ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করে যায়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন শুরু হতে পারে।
বৃহস্পতিবার, ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে 1.2980-1.2993 এরিয়ার মধ্যে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। উভয় ক্ষেত্রেই, এই পেয়ারের মূল্য ২৫ পিপসের বেশি উপরে বাড়েনি। এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি এখনও খুবই কম রয়েছে। যেহেতু দিনের বেলা পরিলক্ষিত মুভমেন্টগুলো খুবই দুর্বল ছিল, তাই গতকাল থেকেই বাই পজিশনে থাকা সম্ভব ছিল। আজ যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের ফলাফলের কারণে পাউন্ড সমর্থন পেয়েছে, তবে এটি আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব ছিল না। তাই, পাউন্ডের পুনরায় দরপতনেরও একইরকম সম্ভাবনা ছিল।
এক ঘন্টার টাইম ফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ঘটেছে এবং দরপতন অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন ডলারের মূল্যের বহুল প্রতীক্ষিত বৃদ্ধি শুরু হয়েছে, তবে এই পেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত কারণ গত তিন সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্যের কোনো কারেকশনের প্রচেষ্টাও দেখা যায়নি। এই পেয়ারের মূল্য কারেকশনের জন্য প্রস্তুত এমন কোনো ইঙ্গিত নেই। আমরা মধ্য-মেয়াদে সম্পূর্ণভাবে এই পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি কারণ এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল বলে আমরা মনে করছি।
শুক্রবার, পুনরায় এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। যতক্ষণ না মূল্য ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করে যায়, ততক্ষণ এই পেয়ার ক্রয়ের কোনো যৌক্তিকতা নেই। এমনকি এটি যদি ঘটে, তবে এটি কেবল একটি কারেকশনের ইঙ্গিত দেবে।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, আপনি 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, 1.3428-1.3440 লেভেলের চারপাশে ট্রেড করতে পারেন। শুক্রবার, যুক্তরাজ্যে নির্ধারিত একমাত্র প্রতিবেদনটি ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে, এবং বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রে বিল্ডিং পারমিট বা নির্মাণ অনুমোদন এবং নতুন আবাসন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আমরা এই প্রতিবেদনগুলোকে গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন বলে মনে করি।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।