আরও দেখুন
মঙ্গলবারে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারএর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন বা ইভেন্ট না থাকলেও মার্কেটে ইউরোর দরপতন হয়েছে। আমাদের জন্য এটি কোনো চমকপ্রদ ঘটনা নয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি যে ইউরো অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় হচ্ছিল এবং অন্যায্যভাবে এটি বেশি দামী ছিল। মার্কেটের ট্রেডাররা আগে থেকেই ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতির নমনীয়করণকে মূল্যায়ন করেছিল এবং এখন তারা এই পেয়ারের বিনিময় হারকে ন্যায্য মূল্যে সমন্বয় করছে।
গতকাল ইউরোজোন এবং জার্মানিতে ZEW ইকোনমিক সেন্টিমেন্ট সূচক প্রকাশিত হয়েছিল, যেটির ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল। তবে, এই সূচকগুলো সম্ভবত ইউরোর দরপতনের প্রধান কারণ ছিল না। মাসখানেক ধরে, বেশিরভাগ সময় ইউরো তীব্র দরপতনের শিকার হয়েছে। পূর্বে, ইউরোজোন থেকে নেতিবাচক সংবাদ থাকা সত্ত্বেও ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এখন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ননফার্ম পেরোলস প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে নিম্নমুখী হওয়া সত্ত্বেও এটি ডলারের দরপতন ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে।
মঙ্গলবারে, ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে 1.0611 লেভেলের আশেপাশে কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। তবে, সামগ্রিকভাবে সোমবারের সিগন্যালও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সোমবারে, 1.0678 লেভেলের আশেপাশে একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, এর পরে মূল্য 1.0611 পর্যন্ত কমেছিল। মূল্য 1.0611 লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ার ক্রয় করা খুব একটা যুক্তিযুক্ত ছিল না, কারণ প্রতিদিন এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, আবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের একটি কারেকশন শুরু করতে পারে, তবে বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে ইউরো ক্রয়ের বা শর্ট পজিশন থেকে মুনাফা নেওয়ার কোনো প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না। আমরা মনে করি যে কোনো আসন্ন কারেকশন (যদি এটি শীঘ্রই ঘটে) সম্ভবত খুব গভীর হবে না এবং ইউরোর জন্য সমর্থনমূলক প্রতিবেদনের প্রয়োজন হবে। তবে এমন প্রতিবেদন থাকলেও, মার্কেটের ট্রেডাররা এখন দৃঢ়ভাবে ডলার ক্রয়ের দিকে ঝুঁকছে।
বুধবারে আমরা আশা করছি, যদি মূল্য 1.0611 লেভেলের নিচে স্থির হয়, তাহলে দরপতন অব্যাহত থাকবে। এমনকি যদি একটি ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন শুরু হয়, তবুও আমরা এই পেয়ার ক্রয়ের পরামর্শ দিতে পারছি না।
৫-মিনিট চার্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো: 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0726–1.0733, 1.0797–1.0804, 1.0845–1.0851, 1.0888–1.0896, 1.0940–1.0951, 1.1011। বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অক্টোবর মাসে গুরুত্বপূর্ণ মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা ডিসেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার নির্ধারণের সিদ্ধান্তের উপর প্রভাব ফেলবে। মূল্যস্ফীতির উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেলে সেটি আরও একবার মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধি করতে পারে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।