আরও দেখুন
মঙ্গলবারে GBP/USD পেয়ার আরেকবার তীব্র দরপতনের সম্মুখীন হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে একটি ফ্ল্যাট ও হরিজন্টাল চ্যানেলে এই পেয়ারের ট্রেডিং করা হচ্ছিল। তবে, আমরা সতর্ক করেছিলাম যে এই অবস্থা চিরকাল স্থায়ী হবে না, কারণ ব্রিটিশ মুদ্রার দর বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিকতা ছিল না। গতকাল, যুক্তরাজ্য থেকে তিনটি উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যার মধ্যে দুটি ইতিবাচক বলে বিবেচিত হতে পারে। জবলেস ক্লেইমসের সংখ্যা প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল এবং যুক্তরাজ্যে বেতন পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা উচ্চতর মূল্যস্ফীতি এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড দ্বারা ধীর গতিতে সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দেয়। তবুও, এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল মার্কেটের ট্রেডারদের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। দেশটির বেকারত্বের হার অপ্রত্যাশিতভাবে সেপ্টেম্বর মাসে 4% থেকে 4.3% এ বেড়ে গিয়েছে, যা পাউন্ডের তীব্র দরপতনের জন্য যথেষ্ট ছিল। আমরা মনে করি যে এই প্রতিবেদনের অনুপস্থিতিতেও ব্রিটিশ মুদ্রার দরপতন অনিবার্য ছিল, তবে এই প্রতিবেদনগুলো এই পেয়ারের বিক্রয় প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ করেছে।
মঙ্গলবারে, ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2791–1.2798 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করেছিল, পরে মূল্য এই রেঞ্জটি ব্রেক করে 1.2748 লেভেলের নিচে স্থির হয়েছিল। ফলস্বরূপ, নতুন ট্রেডাররা প্রথমে পাউন্ডের লং পজিশন ওপেন করতে পারে এবং পরে শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারে। এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী নিম্নমুখী প্রবণতা বিবেচনায়, বাই সিগন্যাল বিবেচনা করা সম্ভবত উপযুক্ত ছিল না। যাই হোক, কোনো ট্রেডেই লোকসান হয়নি, এবং উচ্চ মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার কারণে শর্ট পজিশন থেকে বেশ ভালই লাভ হয়েছে।
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের আরও নিম্নমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে, আমরা 1.2860 এবং 1.3043 লেভেলের মধ্যে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট লক্ষ্য করেছি, তবে মঙ্গলবার মূল্য ফ্ল্যাট রেঞ্জ ব্রেক করেছে। আমরা মধ্যমেয়াদে পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করছি, কারণ আমরা মনে করি এটিই একমাত্র যৌক্তিক দৃশ্যপট। স্বল্পমেয়াদে পাউন্ডের মূল্যের আরেকটি কারেকশনের প্রচেষ্টা চালানো হতে পারে, তবে এর জন্য সমর্থনের প্রয়োজন হবে।
বুধবারে, নতুন ট্রেডাররা নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা করতে পারে যদি মূল্য 1.2748 লেভেলের নিচে থাকে। আজ, এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট অনেকটাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করবে।
৫-মিনিট চার্টে গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল: 1.2665–1.2684, 1.2748, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167। বুধবারে, যুক্তরাজ্যের ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।