আরও দেখুন
সোমবার, সেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে। রাতারাতি ব্রিটিশ মুদ্রার দরপতনের কোনো স্পষ্ট কারণ ছিল না, যা আমাদের এই ইঙ্গিত দিয়েছিল যে এই সপ্তাহের পরিস্থিতি কেমন হতে পারে। পরবর্তীতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ISM ম্যানুফ্যাকচারিং PMI সূচক প্রকাশিত হয়, যেটির প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। এর সাথে S&P বিজনেস অ্যাক্টিভিটি সূচকের ফলাফলও প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গিয়েছে। ফলস্বরূপ, মার্কিন ট্রেডিং সেশনে ডলারের দর বৃদ্ধির শক্তিশালী কারণ ছিল। সামগ্রিক টেকনিক্যাল এবং মৌলিক চিত্র বিবেচনা করলে, এটি স্পষ্ট যে প্রায় যেকোনো পরিস্থিতিতেই পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দরপতন চলমান থাকতে পারে। এখন একমাত্র প্রশ্ন হলো কারেকশন কতদিন স্থায়ী হবে। কারেকশন প্রায়শই দীর্ঘ হতে পারে, তবে এর মানে এই নয় যে এই পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটবে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে সোমবার তিনটি কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমত, মূল্য 1.2680-1.2685 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করেছে, তারপর এই এরিয়া অতিক্রম করেছে এবং শেষ পর্যন্ত 1.2613 লেভেল থেকে (সামান্য এররের সাথে) রিবাউন্ড করেছে। প্রথম সিগন্যালটি ভুল হতে পারে, তবে মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকে 20 পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে, যা স্টপ লস ব্যবহার করে ট্রেডটি ব্রেকইভেনে ক্লোজ করার সুযোগ দিয়েছে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সিগন্যাল নতুন ট্রেডারদেরকে লাভ প্রদান করেছে।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনো GBP/USD পেয়ারের মূল্য়ের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মাঝারি-মেয়াদে, আমরা পাউন্ডের আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি, কারণ আমরা মনে করি এটি সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য এখনো একটি কারেকশন মধ্যে রয়েছে, যা শেষ হতে কিছুটা সময় নিতে পারে। তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল কারণের উপর ভিত্তি করে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা নতুন করে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করতে পারেন, কারণ মূল্য ইতোমধ্যেই 1.2680–1.2685 এরিয়া ব্রেক করে ফেলেছে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, এখন আপনি 1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2754, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993 লেভেলগুলোতে ট্রেড করতে পারেন। মঙ্গলবারের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের JOLTs চাকরির শূন্যপদ সংক্রান্ত প্রতিবেদন। তবে, এই প্রতিবেদনটি মাঝারি গুরুত্বসম্পন্ন, কারণ এটি দুই মাস দেরিতে প্রকাশিত হয়।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।