empty
 
 
31.12.2024 08:08 AM
৩১ ডিসেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট:

This image is no longer relevant

সোমবারও EUR/USD কারেন্সি পেয়ার স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে ট্রেড চালিয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এই 1.0359 এবং 1.0451 লেভেলের মধ্যে ট্রেড করছে, যেখানে চ্যানেলের প্রস্থ 100 পয়েন্টেরও কম। যেমনটি প্রত্যাশিত ছিল, বর্তমানে ছুটির মৌসুমে মার্কেট ফ্ল্যাট অবস্থায় রয়েছে। হ্যাঁ, কয়েকদিন ধরে ইউরোর মূল্য কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল এবং গতকাল এটির মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছিল। তবে, সামগ্রিক টেকনিক্যাল পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ইউরোর গতকালের দরপতন কেবল সাইডওয়েজ চ্যানেলের উপরের সীমা থেকে বাউন্স করার ভিত্তিতে পূর্বাভাস দেওয়া যেত।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট:

This image is no longer relevant

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার একটি সেল সিগনাল তৈরি হয়েছিল। মূল্য 1.0433–1.0451 লেভেল থেকে বাউন্স করে প্রায় 50 পয়েন্ট নিচে নেমেছিল। যদিও মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা 1.0359-এ পৌঁছায়নি, তবে ট্রেডাররা দিন শেষ করার আগে ম্যানুয়ালি ট্রেড ক্লোজ করে এই ট্রেড থেকে লাভ করতে পারতেন।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ার এখনও ছুটিজনিত "ফ্ল্যাট রেঞ্জের" মধ্যে ট্রেড করছে। আমরা মনে করি যে মধ্যমেয়াদে ইউরোর দরপতন পুনরায় শুরু হয়েছে, তবে বর্তমানে মার্কেটের বেশিরভাগ ট্রেডার নতুন ট্রেড ওপেন করার জন্য প্রস্তুত নয়, ফলে মূল্য স্থবির রয়েছে। আমরা আশা করছি যে মূল্য প্রায় অনিবার্যভাবে 1.0334–1.0359 লেভেলে ফিরে আসবে, যদিও এতে নতুন বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।

মঙ্গলবার, এই পেয়ার 1.0334–1.0359 লেভেলের দিকে আরও একটি দরপতনের প্রচেষ্টা চালাতে পারে। তবে, এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্ট বা খুব স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা অব্যাহত থাকতে পারে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেড করার জন্য 1.0269–1.0277, 1.0334–1.0359, 1.0433–1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726–1.0733, 1.0797–1.0804, 1.0845–1.0851, এবং 1.0888–1.0896 লেভেলগুলো বিবেচনা করুন। মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। সুতরাং, ইউরোর মূল্য আজ সম্ভবত সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যেই থাকবে, এবং এই চ্যানেলের ব্রেকআউটের কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত নেই।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.