লিজ ট্রাস

লিজ ট্রাস 2022 সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হন তবে 45 দিনের মধ্যে তাকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হয়েছিল। 47 বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ তার সহকর্মীদের চাপ সহ্য করতে পারেননি। বেশিরভাগ কনজারভেটিভ এমপি তার কর-কর্তনের পরিকল্পনা অনুমোদন করেননি এবং তার পদত্যাগ দাবি করেছেন। লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই কর কমানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেন। যাইহোক, দেশটির সরকার আশঙ্কা করেছিল যে তার এই উদ্যোগ যুক্তরাজ্যকে একটি গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

জর্জ ক্যানিং

জর্জ ক্যানিং হলেন আরেকজন স্বল্প সময়ের প্রধানমন্ত্রী। তিনি 1827 সালের এপ্রিল থেকে আগস্টের মধ্যে 5 মাস ব্রিটেনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এত অল্প সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকলেও ক্যানিং ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক প্রভাবকে শক্তিশালী করেছিলেন। তার তত্ত্বাবধানে, যুক্তরাজ্য দক্ষিণ আমেরিকার স্প্যানিশ উপনিবেশগুলোকে স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয় এবং গ্রীক স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতি সমর্থনকারীর অবস্থান গ্রহণ করে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ক্যানিংয়ের অকাল মৃত্যু না হলে তিনি দেশের জন্য আরও কিছু করতে পারতেন। তিনি 57 বছর বয়সে যক্ষ্মা রোগে মারা যান।

অ্যান্ড্রু বোনার ল

কনজারভেটিভ পার্টির রাজনীতিবিদ অ্যান্ড্রু বোনার ল যুক্তরাজ্যের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি দেশের বাইরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জন্মসূত্রে কানাডিয়ান ল 1922 সালের অক্টোবরে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হন কিন্তু শীঘ্রই তার গলার ক্যান্সার ধরা পড়ে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের ছয় মাস পরে 1923 সালের মে মাসে পদত্যাগ করেন। বোনার ল একই বছরের শরত্কালে 60 বছর বয়সে মারা যান।

অ্যালেক ডগলাস-হোম

ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির রাজনীতিবিদ অ্যালেক ডগলাস-হোম 1963 সালে প্রধানমন্ত্রী হন।তার পূর্বসূরি হ্যারল্ড ম্যাকমিলান অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। যাইহোক, ডগলাস-হোমের প্রধানমন্ত্রীত্ব স্বল্পস্থায়ী ছিল। এক বছরেরও কম সময়ে, তিনি লেবারিস্ট জেমস হ্যারল্ড উইলসনের কাছে সাধারণ নির্বাচনে হেরে যান।

অ্যান্টনি ইডেন

রাজনীতিবিদ অ্যান্টনি ইডেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কয়েক হাজার ইহুদিকে হলোকাস্ট থেকে বাঁচানোর জন্য পরিচিত। 1950-এর দশকে, তিনি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব এবং প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে অনেক মানুষ তার প্রার্থীতাকে সমর্থন করেছিল। ইডেন 1955 সালে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্যার চার্চিলের স্থলাভিষিক্ত হন। তবে, একজন দক্ষ কূটনীতিক হিসাবে তার খ্যাতি মূলত বিতর্কিত বৈদিশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতির কারণে নষ্ট হয়ে যায় যা ব্রিটেনে ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত করে। তার সংক্ষিপ্ত প্রধানমন্ত্রীত্ব 1 বছর এবং 279 দিন স্থায়ী হয়েছিল।

গর্ডন ব্রাউন

লেবার পার্টির রাজনীতিবিদ গর্ডন ব্রাউন 2 বছর 318 দিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশটির রাজনৈতিক সংকট চরমে উঠলে তাকে পদত্যাগ করতে হয়। যুক্তরাজ্যের 2010 সালের সাধারণ নির্বাচন 36 বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি হাং বা ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠিত হয় কারণ কনজারভেটিভ পার্টি বা লেবার পার্টি কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পায়নি। গর্ডন ব্রাউন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন যাতে তার দল বিরোধীদের সাথে জোট গঠন করতে পারে।